Breaking news

এখানে প্রকাশিত প্রত্যেকটি লেখাকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ, গ্রহণযোগ্য তথা ব্যবহারিক করার জন্য আপনার মতামত অত্যন্ত জরুরী। আপনার মতামত সংশ্লিষ্ট লেখার নীচে আমরা প্রকাশ করব। এর পাশাপাশি আপনিও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লেখা পাঠাতে পারেন জনপ্রিয়তা নিরিখে শ্রেষ্ঠ লেখা কে আমরা সম্মানিত করব। আপনার মতামত এবং লেখা পাঠানোর ক্ষেত্রে বাঁদিকে নীচে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যবহার করুন।

সঙ্গী হিসাবে একে অপর কে সন্দেহ করেন ? আসলে এটা একটা মানসিক রোগ যা আপনার জানা জরুরি

আপনার প্রিয় মানুষটির প্রতি কোন প্রকার অযৌক্তিক সন্দেহ থাকাটা যেমন সঠিক নয় তেমনই সামান্যতম প্রশ্ন চিহ্ন না থাকাটাও যে একেবারে স্বাভাবিকতার লক্ষণ তা কিন্তু নয়। সমস্যা হবে এই সন্দেহ যখন মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যায়। যা পরবর্তীকালে ভয়ানক বিপদ থেকে নিয়ে আসে। আমরা দৈনন্দিন খবরে কখনো দেখতে পাই বৈবাহিক বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে কোন আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা যার শুরু এই সামান্য সন্দেহ  থেকে।

প্রাথমিক পর্যায়ে একে অপরের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে শুরু করে চলাফেরা নজরে রাখা কোনরকম অনুমতি না নিয়ে মোবাইল ফোন বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গতিবিধি চেক করা, ফোনে আড়ি পাতা বন্ধুদের  সাথে মিশতে না দেওয়া এ ধরনের লক্ষণ গুলি দেখতে পাওয়া যায়। প্রিয় মানুষটির  উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য নানা ধরনের বিধিনিসের বা শর্তাবলী বেষ্টিত করে একে অপরকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কোন প্রকার যুক্তি ছাড়াই পরকীয়ার অভিযোগ আনে একে অপরের বিরুদ্ধে। শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কখনো সন্দেহ ফুল প্রমাণ হলেও সেই সন্দেহ রাখা  বিশ্বাস বোধের অভাব তৈরি করে।


সমস্যা হল এই বিষয়টিকে আমরা সাধারণত কোন প্রকার মানসিক রোগ বলে বিবেচনাই করি না। যার পরিণতি আজ আমরা দেখতে পাই। অথচ এটি একটি সাধারণ রোগ  যার পোশাকি নাম "ওথেলো সিনড্রোম" । পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে বয়সে কোনরকম সীমারেখা তোয়াক্কা না করে এই রোগের আক্রান্ত যে কেউ হতে পারে। সন্দেহ পরায়ণতার ভিত্তিতে একে  "প্যাথলজিক্যাল জেলাসি" বা "মরবিড জেলাসি" ও বলা হয়ে থাকে।  এটা এক ধরনের "অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার" বা ওসিডি। 


মূলত সঙ্গীর  উপর মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণ, নিরাপত্তাহীনতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, ভালোবাসার ঘাটতি, সঙ্গীকে হারানোর  ভয় এর  মত অসংখ্য প্রাথমিক কারণ রয়েছে এই রোগের পিছনে। যদিও পরোক্ষভাবে মাদকাসক্তি, সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন অন্যান্য ডিসঅর্ডার এর মত বিষয় একে প্রভাবিত করে।


তবে যোগ্য  চিকিৎসক দ্বারা রোগের প্রকৃত মূল্যায়ন করে নিয়ন্ত্রণ বা নিরাময় সম্ভব। এক্ষেত্রে কাউন্সিলিং এর পাশাপাশি ওষুধ পত্রের এমনকি  প্রয়োজনে হসপিটালাইজেশনের ও দরকার হতে পারে। এক্ষেত্রে একজন ও দক্ষ চিকিৎসকই সঠিক দিশা দেখাতে পারেন। তবে কাউন্সিলিং এর ক্ষেত্রে দুই সঙ্গীর ই  ভূমিকা আবশ্যক।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.