এক্ষেত্রে আলোচনাটা বোধহয় ডোপামিন থেকে শুরু করাটাই শ্রেয়। আমরা প্রত্যেকেই জানি ডোপামিন একটি রাসায়নিক যে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে মিশ্রিত হয় মূলত যখন আমরা কোন একটা কাজ করার মধ্য থেকে আনন্দ পাই। আর ওই বিশেষ কাজটির পুনরাবৃত্তিতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে ডোপামিন।
হাবার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর এক জার্নালে " Dopamine, Smartphone & You: A battle for your time" শীর্ষক লেখায় বলা হচ্ছে আমরা যখন আমাদের স্মার্টফোনটি পরীক্ষা করি তখন মস্তিষ্ক অল্প পরিমাণে ডোপামিন নিঃসরণ করে এবং কিন্তু সমস্যা হল ডোপামিন বুষ্ট অস্থায়ী এবং এর প্রতিক্রিয়া ক্রমশ ই কমতে থাকে তখন মস্তিষ্ক আরো ডোপামিন চায় যা দিনভর ক্রমাগত আমাদের ফোন চেক করার অভ্যাসকে বাড়িয়ে তোলো।
কোন এক বিশেষ ঘটনা বা মুহূর্তে আপনার সম্পূর্ণ মানসিক এবং শারীরিক উপস্থিতিতে আপনি যে বিস্ময়, আনন্দ বাজে কোন ধরনের অনুভূতি উপভোগ করতে পারেন অত্যধিক সময় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে থাকলে সেটা থেকে আপনি নিশ্চিতভাবে বঞ্চিত হবেন। পর্যাপ্ত ঘুম,স্বাস্থ্যকর ভাবে খাওয়া দাওয়া , এবং সঠিক বিশ্রামের মূল অন্তরায় এই স্মার্টফোন। পরিবার সমাজ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অপেক্ষা মনোযোগ স্মার্টফোনে কেন্দ্রীভূত হওয়ার ফলে যেমন এককভাবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে ঠিক তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকের প্রজন্ম দৈনন্দিন জীবনশৈলী থেকে শুরু করে বিনোদনের বিভিন্ন বিষয়গুলি সম্পর্কে দেখার পরে পারিবারিক জীবনে এক ধ্রুবক তুলনার উৎপত্তি হচ্ছে যা অসন্তুষ্টি হীনমন্যতার অন্যতম প্রধান কারণ।
তবে এই সর্বনাশা আসক্তি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসা কিছু পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন।
বারংবার ফোন চেক করা থেকে বিরত থাকুন। সারাদিনে অন স্ক্রিন থাকার সময় কে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন অভ্যাস এবং সংযমের মাধ্যমে।
নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন এই নোটিফিকেশন সময় বিশেষে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে এটা একটা উদ্বেগেরও কারণ।
খাবারের সময় ফোন থেকে দূরে থাকুন এতে করে একদিকে যেমন আপনি খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন অন্যদিকে একাগ্রতার সাথে প্রয়োজন মতই খাবার খাবেন অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনাটাও কমে যাবে।
উন্মুক্ত সকাল ভীষণ জরুরি বিছানায় বসে আপনার স্ক্রিনের আলো এবং কোন নতুন সামাজিক আপডেট আপনার উত্তেজনাকে বাড়াতে পারে।। ফোনকে পাশে সরিয়ে রেখে চাওয়া উপভোগ করতে পারেন প্রার্থনা বা একটু শরীরচর্চা মধ্যে দিয়ে দিনের শুরু করা যেতে পারে।
রাত্রে ঘুমোতে যাবার নূন্যতম তিরিশ মিনিট আগে থেকে ফোন দূরে রাখুন এক্ষেত্রে আপনার উদ্বেগ হিন্দী ভালো ঘুম হতে পারে।
মনে রাখবেন দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে তৈরি করা এই অভ্যাস একদিনে বা এক সপ্তাহে দূর করাটা অত্যন্ত দুরু। তাই ধীরে ধীরে অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।